চলতি ওয়ানডে বিশ্বকাপে হতশ্রী পারফরম্যান্সে একের পর এক ম্যাচ হেরে বিদায়ের প্রহর গুনছে বাংলাদেশ। অন্যসব ব্যাটসম্যানদের মতো ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। কিন্তু তাতেও থেমে নেই তার অর্জন। পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আরও এক কীর্তি গড়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। আজ মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভারত বিশ্বকাপের ৩১তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান।
এদিন ব্যাট হাতে ৬৪ বলে ৪ চারের মারে ৪৩ রান করেছেন সাকিব। এতে বিশ্বকাপের মঞ্চে রান সংগ্রহের দিক থেকে তিনি পেছনে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারাকে। চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত এটিই তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪০ রানের ইনিংসটি ছিল আসরে তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ।
৬ ম্যাচ মিলিয়ে তার রান এখন ১০৪। এ পরিসংখ্যানটাই বলে দেয় চলতি বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে সময়টা কত খারাপ যাচ্ছে সাকিবের! অথচ ২০১৯ বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ৬০৬ রান করেছিলেন তিনি। কিন্তু এর মাঝেও নিজের অর্জনটাকে ছাড়িয়ে গেছেন সাকিব। পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করতে নামার আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৩৫ ম্যাচে তার রান ছিল ১২০৭।
যেটা এখন গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫০ রানে। বিশ্বকাপ ইতিহাসে ডি ভিলিয়ার্সের রান ১২০৭ আর লারার রান ১২২৫। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সাকিবের ওপরে আছেন ছয় ব্যাটার। ২৩ ইনিংসে ১৩৭৬ রান নিয়ে ছয়ে রোহিত শর্মা, ৩২ ইনিংসে ১৩৮৪ রান নিয়ে পাঁচে বিরাট কোহলি, ২৪ ইনিংসে ১৪০৫ রান নিয়ে চারে ডেভিড ওয়ার্নার।
চলতি আসরে যেভাবে তারা দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন তাতে সাকিবের পক্ষে তাদের পেছনে ফেলা প্রায় অসম্ভব। ৪৪ ইনিংসে ২২৭৮ রান করে তালিকার শীর্ষে আছেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার শচীন টেন্ডুলকার। ৪২ ইনিংসে ১৭৪৩ রান করে দুইয়ে অজি কিংবদন্তি রিকি পন্টিং আর ৩৫ ইনিংসে ১৫৩২ রান করে তিনে লঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারা।
টেন্ডুলকার ও পন্টিং ২০১১ বিশ্বকাপ আর সাঙ্গাকারা ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলে অবসরে গেছেন। এদিকে টানা পাঁচ হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৫৬, লিট দাসের ৪৫ আর সাকিবের ৪৩ রানে ভর করে কোনোরকম ২০৪ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ব্যাটারদের বিপক্ষে তাসকিন-শরিফুলরা অতিমানবীয় কিছু না করলেও এ রানে বেঁধে দিয়ে জয় পাওয়া প্রায় অসম্ভব।